easyHealthEducation

২য় ধরনের ডায়বেটিক রোগীদের ইনসুলিন বৈরিতার সমস্যা থাকে। অর্থাৎ দেহে অতিরিক্ত ইনসুলিন উপস্থিত থেকেও, ইন্সুলিন নির্ভর কাজগুলো সম্পন্ন করাতে পারে না। এর ফলে, রোগীর পেশীকোষগুলো রক্তে অতিরিক্ত চিনি থাকলেও, সেই চিনি ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করতে পারে না কেননা, কোষের ভেতরে চিনি প্রবেশ করানোর কাজটি নিয়ন্ত্রণ করে ইনসুলিন। এমতাবস্থায়, রোগীর পক্ষে দৈহিক পরিশ্রমের কাজ কঠিন হয়ে পরে। যেহেতু ব্যায়াম করতে শক্তি প্রয়োজন হয়, তাই ব্যায়াম করার ক্ষেত্রেও রোগীগণ অসমর্থ হয়ে থাকেন। এমন একজন অসমর্থ অসুস্থ্য মানুষকে ব্যায়াম করতে বলা এবং সেই কথা না মান্য করলে, তার ঘাড়ে দোষ চাপানর চেষ্টা করা আসলে অন্যায় ঠিক যেমন অন্যায় হচ্ছে একজন বোবার কাছ থেকে কথা শুনতে চাওয়া অন্যায়।

তাদের উপস্থাপিত তথ্য মতে বাংলাদেশে প্রায় ৮৪ লক্ষ ডায়বেটিক রোগী রয়েছেন। অথচ, ডায়বেটিক অ্যাসোসিয়েশান অফ বাংলাদেশ তাদের কাউকেই সারিয়ে তুলতে পারেন নি! এতে আমি গর্ব অনুভব করতে পারছি না, ক্ষমা করবেন! ওয়েবসাইট হচ্ছে একটা জঙ্গল এবং উপস্থাপিত তথ্য হচ্ছে অবৈজ্ঞানিক! এবারে কিন্তু একটু লজ্জাই লাগছে!

আবার সাব্বির আহমেদ ভাই কিছু বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন এবং আমি চেষ্টা করছি তার যৌক্তিক ত্রুটিগুলো তুলে ধরতে।

"মাংশ খেলে ক্যান্সার হবে" এই কথা আমরা সকলেই এখন বিশ্বাস করি কেননা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৫ সালে এই বিষয়ে বিশ্ববাসীকে এই মর্মে অবগত করে যে, প্রক্রিয়াজাত মাংশ খেলে তো নিশ্চিতভাবেই, এমনকি অপ্রক্রিয়াজাত মাংশ খেলেও মানুষের বৃহদন্ত্রের ক্যান্সার হবে। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে, সারা পৃথিবীতে মাংশ খাওয়ার বিরোধী জনমত তৈরি হয়। কেউ কেউ দাবি করেন যে মাংশ খাওয়া এবং ধুমপান করার মাঝে কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু এই দাবিগুলো বিজ্ঞান সম্মত ছিল কি? WHO কি আসলে নির্ভরযোগ্য গবেষণার উপর ভিত্তি করে এই কথা দাবি করেছে? হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল থেকে পাস করা ডাক্তার জর্জিয়া ঈড বিষয়টি বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করেন এবং তাতে দেখা যায় যে, WHO যেন বিশ্ববাসীর চোখের উপর ঠুলি পরিয়ে, তাদের নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করেছে। এই উপস্থাপনায়, সেই পর্যালোচনা সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

Prolonged fasting can reduce glucose and glutamine in Cancer patients says Prof Thomas Seyfried

Cancer Cachexia explained by Cancer researcher Professor Thomas Seyfried

রেডিওথেরাপি আসলে গ্লিওব্লাস্টোমা (ব্রেইন ক্যান্সার) রোগীদের দ্রুত মৃত্যু ঘটায়- প্রঃ টমাস সেফ্রিড উতসঃ https://youtu.be/2az_igDfXjQ

ভাজা পোড়া মাংশ খেলে সর্বনাশ - এমনই দাবি @sabbirahmedewuki ভাইয়ের। কিন্তু বাস্তবতা কি আসলেই তাই? অন্য বিশেষজ্ঞগন কি বলেন? চলুন দেখে আসি। উতসঃ ১। সাব্বির ভাই এর ভিডিও যেখানে তিনি ভয় দেখাচ্ছেনঃ https://youtu.be/El5QzV6gJvo ২। হার্ভার্ড প্রশিক্ষিত ডাঃ জর্জিয়া ঈড এর PAH সঙ্ক্রান্ত আলোচনাঃ https://www.diagnosisdiet.com/full-article/meat-and-cancer ৩। পুষ্টিবিদ অ্যামি বারজার এর ব্যখ্যাঃ https://www.youtube.com/watch?v=RwA_N0i7Vpc (১৯:২০ সময় থেকে শুরু)

ক্যান্সার রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহযোগী চিকিৎসা হিসাবে প্রফেসর টমাস সিফ্রিড আমাদের কে কিটোজেনিক ডায়েট করলে উপকার হবে বলে জানিয়েছেন। যে রকমের কিটো ডায়েট করে রোগীদের উপকার হয়েছে, সেখানে রোগীগণ খাবারের মোট ক্যালরির ৫ ভাগের এক ভাগ খেয়েছেন আমিষ এবং শর্করা মিলিয়ে এবং বাকিটা ছিল চর্বি জাতীয় পদার্থ। এক ভাই আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন যে শুধু চর্বি খেয়ে থাকা যাবে কিনা। এই ভিডিওতে আমি সেই প্রশ্নের জবাব দেবার চেষ্টা করেছি।

বিশ্লেষণী ক্ষমতা ব্যবহার না করায় আমরা এমন উদ্ভট সব গল্প ব্যবহার করে ইসলাম প্রচারের চেষ্টা করি, যা আসলে আমাদের ঈমানের ক্ষতি করে। আসুন বুঝি এবং সতর্ক হই।

উৎসঃ https://youtu.be/6Tz1MiX1p5I আন্তর্জাতিক তথ্য মাধ্যমগুলোর প্রচারণার ফলে, একটি নিরপরাধ গ্যাস, কার্বন ডাই অক্সাইড কে আমরা জুজুর মত ভয় করতে শুরু করেছি। গরম বেশি হলে, শক্তিশালি ঝড় হলে, দাবানল হলে, জলোচ্ছ্বাস হলে আমরা এই গ্যাস কে দায়ী করছি। গত শতাব্দীতে প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লা ব্যবহার হচ্ছে। উড়োজাহাজ, জাহাজ এবং গাড়ি চলছে এই জ্বালানী ব্যাবহার করে। ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস পরিবেশে ছড়িয়ে গিয়ে, বায়ুমণ্ডলে এর পরিমাণ শতকরা ০.৪% থেকে সামান্য একটু বেড়েছে। কিছু বিজ্ঞানী সুনাম এবং অর্থের লোভে এই বৃদ্ধিকেই জলবায়ু পরিবর্তন এর কারণ হিসাবে দাবি করেছেন। এই তথ্য নিঃসন্দেহে সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে। কিন্তু প্রফেসর স্টিভেন কুনেন তার বই 'Unsettled' এ সঠিক তথ্য তুলে ধরে এই মিথ্যাচারের অবসান ঘটানর চেষ্টা করেছেন।

প্রশ্নঃ আপেল সাইডার ভিনেগার যদি বিষ হয়, তাহলে বিষ খেয়ে কেউ কেউ উপকার পাচ্ছেন কি করে? অম্লতাই পেপ্সিন এনজাইমকে সক্রিয় করে দাবি করছে যে বইঃ https://www.ncbi.nlm.nih.gov/books/NBK537005/ তাদের মতে, Pepsin is a stomach enzyme that serves to digest proteins found in ingested food. Gastric chief cells secrete pepsin as an inactive zymogen called pepsinogen. Parietal cells within the stomach lining secrete hydrochloric acid that lowers the pH of the stomach. A low pH (1.5 to 2) activates pepsin. যে মেটা এনালিসিস ভিনেগার কে উপকারী দাবি করেছেঃ https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/34187442/ নিরপেক্ষ বিচারে যে ১২টি কারণে আপেল সাইডার ভিনেগার খাওয়া উচিত, তা লিপিবদ্ধ আছে এই ওয়েবসাইটেঃ https://www.planetnatural.com/benefits-of-apple-cider-vinegar/ Video link: 1. https://www.facebook.com/AsadHealthAcademy/videos/581069187538014 2. https://www.facebook.com/AsadHealthAcademy/videos/805043264550852

কিটোজেনিক ডায়েট নিয়ে সাব্বির আহমেদ এর বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা এবং আমার প্রতিক্রিয়া। সুবিন্যাস্ত কিটোজেনিক ডায়েটঃ https://www.virtahealth.com/blog/well-formulated-ketogenic-diet সম্পৃক্ত চর্বি হৃদরোগ ঘটায় কি? https://www.virtahealth.com/blog/the-sad-saga-of-saturated-fat কিটোজেনিক ডায়েট ব্যবহারে রক্তের চরবিগত পরিবর্তনঃ https://www.virtahealth.com/blog/blood-lipid-changes-with-ketogenic-diet

টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন আমাদের প্রতিবার খাওয়ার পরেই ফ্লুরাইড যুক্ত দাতের মাজন দিয়ে মুখ ধুতে বলে। যখন তখন মাউথওয়াস দিয়ে মুখের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে উপদেশ দেয়। কিন্তু সেটা কি সব সময় ভাল? মুখের মধ্যে প্রায় এক হাজার কোটি ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে এবং আমাদের জন্য অনেক উপকারী কাজ এরা করে থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনে মুখের ব্যাকটেরিয়া ভূমিকা রাখে। তাই দিনে একাধিকবার ব্যাকটেরিয়া নাশক দিয়ে মুখ ধুলে, হতে পারে আপনার উচ্চরক্তচাপের সমস্যা। যে গবেষণা গুলো উপস্থাপন করা হয়েছেঃ ১। নাইট্রিক অক্সাইড এর পরিচিতি https://www.schoenfischlab.com/nitric-oxide.html ২। মাউথওয়াস ব্যাবহার করলে রক্তচাপ বাড়ার একটি প্রমাণঃ https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC7125030 ৩। মাউথওয়াস ব্যাবহার করলে রক্তচাপ বাড়ার আরেকটি প্রমাণঃ https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC6406172/ ৪। প্রক্রিয়াগত ব্যাখ্যাঃ https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC7567004 ৫। পর্যবেক্ষণ ভিত্তিক দুর্বল গবেষণা যা মাউথওয়াশ এবং উচ্চ রক্তচাপের মধ্যে সম্পর্ক পায় নিঃ https://www.nature.com/articles/s41415-023-5507-4 ৬। ইকনোমিক টাইমস এর প্রতিবেদনঃ https://economictimes.indiatimes.com/magazines/panache/cut-down-use-of-mouthwash-it-could-negate-benefits-of-exercise-trigger-high-bp/articleshow/70978738.cms

মূল ভিডিওঃ https://www.youtube.com/watch?v=El5QzV6gJvo সহযোগী প্রমাণঃ ১। ডাঃ জর্জিয়া ইড এর লেখাঃ https://www.diagnosisdiet.com/full-article/meat-and-cancer ২। ডঃ ডেভিড ক্লারফিল্ড এর প্রতিবেদনঃ https://www.sciencedirect.com/science/article/abs/pii/S0309174015300218 ৩। আমেরিকান কলেজ অব কারডিওলজি এর রিভিউঃ https://www.jacc.org/doi/abs/10.1016/j.jacc.2020.05.077 আপনি যদি বুদ্ধিমান হন, তাহলে আশা করি সাব্বির ভাইয়ের ভিডিও দেখে ঘাবড়াবেন না এবং মাংশ খাওয়া কমাবেন না। তবে ভাত বা রুটির সাথে বা আলুর সাথে মাংশ না খেলে উপকার বেশি হবে।

ধূমপান ক্যান্সার এর সব থেকে বড় কারণ এবং প্রায় ৩৫% ক্যান্সার হয় ধূমপান জনিত কারণে। এর ঠিক পরেই ৩০% ক্যান্সারের জন্য দায়ী হচ্ছে ওজনাধিক্য বা স্থূলতা। এবং আরও সুনির্দিষ্ট ভাবে বললে বলতে হবে, সম্ভবত কারণটি হল ইন্সুলিনাধিক্য। খাবার থেকে শর্করা কমিয়ে দিলে, এবং ঘন ঘন না খেলে আমরা ওজন কমিয়ে নিতে পারি এবং সাথে কমে যাবে ১৩ ধরনের ক্যান্সার হবার ঝুঁকি।

ডিম খেতে খেতে উচ্চ রক্তচাপের কারণ নিয়ে আলোচনা

ক্যান্সার ধরা পরলে যে কারোরই জগত কেঁপে ওঠে এবং অতি সঙ্গত কারণেই। এই অবস্থায় স্থির থাকা কঠিন এবং তাই আমরা অস্থির হয়ে তক্ষুনি কোন একটা চিকিৎসা করার চেষ্টা করি। অথচ ক্যান্সার কিন্তু একদিন অথবা এক সপ্তাহের মধ্যে আপনাকে মেরে ফেলবে, এমন অসুখ নয় (প্রায় সকল ক্ষেত্রে)। তাই এমন অস্থির হয়ে কিছু করা একটি মারাত্মক ভুল। এমনই কিছু ভুল নিয়ে আলোচনা করেছি এই ভিডিও তে। তথ্য উৎসঃ https://youtu.be/iwdTXwrnr-w

বিস্তারিতঃ https://youtu.be/3SViqVhlb3E

৯৪ জন মানুষ যাদের প্রত্যেকের (ক) উচ্চ রক্তচাপ, (খ) ২য় ধরনের ডায়বেটিস বয়া প্রিডায়বেটিস এবং (গ) ওজন বেশি বা অতি-বেশী রয়েছে, তাদের কে নিরপেক্ষভাবে দুই দলে ভাগ করে, একদল কে দেয়া হয় কিটো ডায়েট এবং অন্য দল কে দেয়া হয় ড্যাশ (DASH, Dietary Approach to Stop Hypertension) ডায়েট। উদ্দেশ্য ছিল খুঁজে বার করা যে কোন ডায়েট অমন রোগীদের জন্য বেশি উপকারী। এই ম্যাচে কিটো ডায়েট জিতেছে ৪-০ গোলে! গবেষণার লিঙ্কঃ https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/37217318/ ডাঃ কেন বেরির ভিডিওঃ https://youtu.be/RZtsLQgUE9s