কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন | বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশন

1 year ago
4

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন | বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশন #aholidaytour

➤ || P L E A S E|| ➤ https://tinyurl.com/aholidaytour
✅ Like |✅ Comment |✅ Share | ✅ Subscribe

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পাকিস্তান আমলে তৈরি হলেও স্টেশনের রেলপথটি ব্রিটিশ ভারতীয় আমলে নির্মিত হয়। পাকিস্তান সৃষ্টির পর ঢাকায় অবস্থিত পুরোনো রেলওয়ে স্টেশনটি অপর্যাপ্ত হওয়ায় শহরের কমলাপুর এলাকায় আরেকটি রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৬৮ সালে নির্মিত এই রেলওয়ে স্টেশনটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার স্বাক্ষী ছিল।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এখানে দেশের প্রথম অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো স্থাপন করা হয়। বিভিন্ন সময়ে স্টেশন ভবনটি স্থানান্তর ও ভেঙ্গে ফেলার প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ ও বিশিষ্টজনদের আপত্তির ফলে তা করা হয়নি। বর্তমানে এই স্টেশনকে ঘিরে 'মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব' নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।

এই স্টেশন বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভাসমান জনগোষ্ঠী, প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা, নিরাপত্তাহীনতা, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, পদচারী সেতু ব্যবহারে যাত্রীদের অনাগ্রহ, কুলিদের সমস্যা, তথ্যের অপ্রাপ্যতা ইত্যাদি। স্টেশনে ১১টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এর পাশাপাশি এখানে হাসপাতাল, মসজিদ, থানাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

ইতিহাস:
১৮৮৫ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে ঢাকা স্টেট রেলওয়ে নারায়ণগঞ্জ–বাহাদুরাবাদ ঘাট রেলপথ নির্মাণ করে। এই রেলপথটির একটি অংশ খুলে দিয়ে ঢাকার পুরোনো শহর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত রেল পরিবহন সেবা চালু করা হয়।

১৮৯৫ সালে[৭] অন্যান্য পরিষেবা সহ ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন (যা ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন নামেও পরিচিত) নির্মাণ সম্পন্ন হয়।[৮] স্টেশনটি ঢাকার মূল শহরের দক্ষিণে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। একই বছরে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজন ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ঢাকা পূর্ববঙ্গের (পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান) রাজধানী হয়। সেই সময় রেলপথটি তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন থেকে সোজা ফুলবাড়িয়ায় যেতো।

প্রতিষ্ঠা:
বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, বিশেষত ১৯৪৭ সালের পর ঢাকার নগরায়ন ও এর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটে। বিদ্যমান রেলপথটি উত্তরদিকে প্রসারিত হয়ে ঢাকাকে পুরনো ও নতুন শহরে দ্বিখণ্ডিত করে ফেলে।

একই সাথে এই রেলপথ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অতিক্রম করায় উত্তর-দক্ষিণের সড়কে যানচলাচল বাধাগ্রস্ত হতো। এছাড়াও ঢাকার উত্তর দিকে অবস্থিত পুরোনো ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনটি অপূর্ণাঙ্গ ছিল।

এখানে শুধু একটি প্ল্যাটফর্ম, একটি ছোট প্রাঙ্গণ ও একটি লোকোমোটিভ শেড (আক্ষ. 'ভ্রমণ সহায়ক ছাউনি') ছিল। তাই ধারণা করা হয়েছিল, স্টেশনটিকে তুলনামূলক কম ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে স্থানান্তর করা হলে তেমন কোনো বাঁধা ছাড়াই উত্তর-দক্ষিণের যানবাহনের প্রবাহ সহজ হবে এবং পুরোনো ও নতুন ঢাকা একত্রিত হবে।

১৯৪৮ সালে বিশেষজ্ঞরা স্টেশনটিকে কমলাপুরে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। ১০ বছর পর, ১৯৫৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক প্রাদেশিক সরকারকে পরিকল্পনাটি কার্যকর করার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।[৬] স্টেশনটি নির্মাণের পূর্বে নির্মাণস্থলে একটি ধানক্ষেত ছিলো।[৫] তেজগাঁও থেকে রেলপথের গতিমুখ পরিবর্তন করে খিলগাঁও, এরপর সেখান থেকে কমলাপুর পর্যন্ত নেওয়া হয়। আইয়ুব খান ১৯৬৮ সালের ২৭শে এপ্রিল স্টেশনটি উদ্বোধন করেন।[৬] এর নির্মাণ ব্যয় ছিল পাঁচ কোটি ত্রিশ লাখ পাকিস্তানি টাকা।[১০] এর এক বছর পরে স্টেশন ভবনে রেলওয়ে ডাক সেবার প্রাদেশিক দপ্তর স্থানান্তর করা হয়

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন,কমলাপুর রেল স্টেশন,কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে,কমলাপুর রেলস্টেশন,কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন,কমলাপুর স্টেশন,কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্থপতি কে,এক নজরে কমলাপুর রেল স্টেশন,ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন,কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সময়সূচি,কমলাপুর,ঢাকা কমলাপুর রেল ষ্টেশন,কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি,কমলাপুর রেল স্টেশন টিকেট কাউন্টার,কমলাপুর ষ্টেশন,কমলাপুর রেলওয়ে,কমলাপুর রেল স্টেশন বর্তমান পরিস্থিতি,কমলাপুর স্টেশন টিকেট কাউন্টার

#কমলাপুররেলওয়েস্টেশন
#বাংলাদেশেররাজধানীঢাকায়অবস্থিতকেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশন
#বাংলাদেশের রাজধানী

Loading comments...