ঘূর্ণিঝড় কিভাবে সৃষ্টি হয়...!!!

1 year ago
2

পৃথিবীর মহাসমুদ্রগুলো, গরমকালে সূর্যের প্রখর তাপ শুষে নিয়ে উত্তপ্ত হতে শুরু করে। সমুদ্রের এই উষ্ণ পানি থেকে বের হওয়া তাপকেই  ঘূর্ণিঝড়ের ইঞ্জিন বা শক্তির অন্যতম মূল উৎস বলা যায়। এবার এর সাথে জুড়ে দিন বাতাস-ব্যাস, এগুলোই হলো প্রকান্ড ঘূর্ণিঝড় তৈরির মূল উপাদান।

ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার জন্য সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বা ৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হতে হয়।  

তখন সমুদ্রের এই উত্তপ্ত পানি থেকে বাস্পীভবন শুরু হয়। প্রচুর জলীয় বাষ্প উপরে উঠে ঠান্ডা হতে শুরু করে এবং সাথে তৈরি করে মেঘ, যা আবার বৃষ্টি ও বাতাস হিসেবে শক্তি নির্গত করে। 

এদিকে আবার উষ্ণ বাতাস হালকা হয়ে উপরে উঠে যাওয়ার ফলে ওই জায়গায় ফাঁকা হয়ে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এই নিম্নচাপের ফলে আশেপাশের সব অপেক্ষাকৃত উচ্চচাপের এলাকা থেকে বাতাস এবং মেঘগুলো সাগরের উপরের  এই নিম্নচাপ এলাকার দিকে ছুটে আসতে শুরু করে।
 
আমাদের পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর ঘুরছে আর সেই ঘূর্ণনের কারণেই, চারদিকের এই ধেয়ে আসতে থাকা বাতাস সোজাসুজি না এসে কিছুটা বেঁকে যায়।
এখন বিভিন্ন দিক  থেকে আসা বাতাস, এই নিম্নচাপের চারপাশে বেঁকে যেতে থাকলে সৃষ্টি হয় প্রচন্ড ঘূর্ণনের। 

একে বলে কোরিওলিস প্রভাব (Coriolis effect), এর ফলেই উত্তর গোলার্ধে বাতাস ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়। তাই উত্তর গোলার্ধে ঘূর্ণিঝড়গুলো ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে (anti-clockwise) এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে (clockwise) ঘোরে। 

চারদিকের বাতাসে যত মেঘ, যত আর্দ্রতা আছে সব এসে, পড়িমরি করে জড়ো হতে শুরু করে আর তৈরি হতে থাকে ভয়ংকর এক ঝড় -  ঘূর্ণিঝড়। পানির তাপমাত্রা যত বেশি হয় এবং এই নিম্নচাপ এলাকায়  চাপ যত কম থাকে ততই সম্ভাবনা বাড়তে থাকে আরো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির। 

#solarsystem #blackhole #moon #earth #space #power #sun #CapCut #light #lightyear #march #speedoflight #eneargy #night #day #night #polarnight #eclipse #solareclipse2023 #solareclipse #solar #supernova #viralvideo #viralreels #blackhole #bloodmoon #satan #penumbral #time #timedilation #eventhorizon  #Jupiter   #jupitersavesearth   #pluto   #water  #universe  #Kepler452b  #Starlink #cyclone

Loading comments...