ll ঘরোয়া উপায়ে হিউমিক এসিড বানান / ঘরোয়া এই টোটকা ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে ll

1 year ago
3

#pinky #lifestylevlog #gardening #vlog #viral #trending #gardeningtips

ক্ষতিকর রাসায়নিকযুক্ত সার দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে ফসলের ফলনে। মাটির সারের ক্ষমতা বৃদ্ধি একটি বড় চ্যালেঞ্জের চেয়ে কম নয়। মাটির কাঠামো উন্নত করতে এবং সারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে হিউমিক অ্যাসিড বিশাল কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

হিউমিক এসিড কি?

হিউমিক অ্যাসিড একটি বহুমুখী খনিজ। অনুর্বর জমিও এর ব্যবহার দ্বারা উর্বর করা যায়। এটি মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

এটি মাটিতে ভালভাবে মিশে যায় এবং গাছগুলিতে পৌঁছায়। এটি ছাড়াও, এটি মাটিতে নাইট্রোজেন এবং আয়রন রাখে।

জমির সারের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

আলো গ্রহণের জন্য উদ্ভিদের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যার কারণে গাছপালা সবুজ এবং সুস্থ দেখায়।

এর ব্যবহার গাছপালা, ফল এবং ফুলের সংখ্যা বৃদ্ধি করে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে ফসলের ফলনে।

বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

প্রতিকূল পরিবেশেও গাছপালা নিরাপদ থাকে।

হিউমিক অ্যাসিডের উপকারিতা

এটি মাটির গঠন উন্নত করতে সহায়ক।

এর ব্যবহার মাটিকে ভঙ্গুর করে তোলে।

সহজে বাড়িতে ঘরোয়া উপায়ে হিউমিক এসিড তৈরির পদ্ধতি:-

বাড়িতে তৈরি করা ভাত থেকে কিছুটা নিয়ে আর সাথে ভাতের ফ্যান বা মাড় নিয়ে একটা বালতিতে রাখতে হবে। সাথে পরিমাণ মত জল মিশিয়ে বালতির মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ঠান্ডা জায়গায় মাটিতে পুঁতে রাখতে হবে। এভাবে দিন পনের রেখে তারপর তুলে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করা হিউমিক এসিড।
বা এই পদ্ধতিতেও বানাতে পারেন হিউমিক এসিড।

500 গ্ৰাম চালের ভাত তৈরী করুন, ফ্যান সহ ভাত কে ঠান্ডা করুন, চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় এটি ঠান্ডা হয়ে যাবে। এর পর এই ফ্যান সহ ভাত একটি মাটির হাঁড়ি বা কলসী তে ভরে একটা মাটির সরা বা নারকেলের মালা চাপা দিয়ে দিন। এর পর এই হাঁড়ি বা কলসী যেকোনো মিস্টি ফলের গাছের তলায় বড়ো গর্ত খুঁড়ে ঢুকিয়ে মাটি চাপা দিয়ে দিন। পুরো কলসী টাই যেন মাটির নিচে থাকে। আর গর্ত টাকে একটু জল দিয়ে হালকা ভিজিয়ে দিন।

এই অবস্থায় কলসি টা কে তিন থেকে সাত দিন রাখুন তারপর মাটির নিচে থেকে বের করে নিন।

এবার ঐ ফ্যান ভাতের সাথে 12 লিটারের মতো জল মিশিয়ে ভালো করে চটকে একটা সুতির কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিন। ভাতের মন্ড টা পুকুরে ফেলে দিন ওটি মাছের খাদ্য হয়ে যাবে, আর ছাঁকা জল টাই আপনার সর্বোত্তম কোয়ালিটির হিউমিক অ্যাসিড। এই পদ্ধতিতে বানানো হিউমিক অ্যাসিড একটা প্লাস্টিকের বোতলে ছিপি এঁটে রাখুন। ছয় মাস পর্যন্ত এটার গুনমাণ একই রকম থাকবে।

বাজারে হিউমিক অ্যাসিড মোটামুটি ভাবে 300-1000 টাকা কিলো/ লিটার। এই পদ্ধতিতে তৈরী হিউমিক অ্যাসিডের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি বাজারের কেনা হিউমিক অ্যাসিডের থেকে প্রায় দ্বিগুণ, খরচ ম্যাক্সিমাম 2 টাকা প্রতি লিটার।

যেকোনো গাছের ক্ষেত্রেই এটি দারুন উপকারী। কিচেন গার্ডেন থেকে মাঠের চাষ সবেতেই ব্যবহার করুন। ডিরেক্ট ও ব্যবহার করতে পারেন আবার জলের সাথে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন 😊।
জবা ফুল,পাতা,মেথি,কালো জিরে,নারিকেল তেল,আমলকি,এলোভেরা,নিমপাতা,কারি পাতা সহযোগে তৈরি এই তেল।যা চুল পরা কমাতে, চুল ঘন করতে ভীষণ উপকারী

Loading comments...