Premium Only Content

।। আরিতার ভ্রমণ ।। পূর্ব সিকিম ।। সিল্ক রুট ।। A tour to Aritar in 2021 ll East Sikim ll
একটি মখমলি সবুজে ছাওয়া পাহাড়ি শহর। কয়েকটি মঠ, গান্তি-সো হ্রদ, তার নীল-সবুজাভ জল, সাবেক ঢঙের সবুজ আরিতার। এক-দুই রাতের জন্য বিনোদনী ঠেক। পুবের জানলার পর্দা সরাতেই সুন্দর দৃশ্য। জানলা খুলতেই হালকা ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে সকালের মিষ্টি রোদ। গাছে পাখিদের কিচিরমিচির। একজোড়া পাহাড়ি পাখি ঠোঁট-গা ঘষাঘষি করে সোহাগি আলাপ সারছে। ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে গরম কফির কেটলি, সঙ্গে এক প্লেট ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। সুদৃশ্য কাপে কফি ঢেলে, আয়েসি চুমুক দিতে দিতে জানলার ও-পারে পরখ করে যাই পাখিদের খুনসুটি। দূরে সবুজ পাহাড়ের আবছায়ায় থোকা থোকা মেঘ ভাসছে কুয়াশার মতো। আরিতারের রোদ্দুর একটু একটু মেঘ সরিয়ে পাহাড়গুলোর ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করে। মন ভোলানো সকাল।
আরিতার লেককে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘ঘাতি সো’। প্রকৃতির নিজের হাতে গড়া এই রম্য হ্রদটি। প্রায় ৩৫০ মিটার লম্বা ও ৭৫ মিটার চওড়া হ্রদটি একেবারে মানুষের পায়ের পাতার আদলে দেখতে। বহু প্রাচীন এই প্রাকৃতিক হ্রদটি এখন অবশ্য বাইরে থেকে সাজিয়ে গুছিয়ে অনেক আকর্ষক করা হয়েছে পর্যটক টানার জন্য। প্যাডেল পুশার নৌবিহারের ব্যবস্থা আছে। নাগালে কাপল হাউজ একটি আস্তানা ও আপাতত খদ্দেরহীন একটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে। আরিতার লেকের আসল নাম হচ্ছে লোমপোখরি। ছবি তুলছি, এমন সময়ে পায়ের পাশ গলে চই চই চই...করতে করতে একগুচ্ছ সাদা রাজহাঁস মিছিল করে জলের পানে চলে গেল। লোমপোখরির জলের খোলস ভাসতে ভাসতে তাদের ডুব-আমেজ ও অজস্র সাঁতার। হাঁসের সাদা পালকগুচ্ছ থেকে পিছলে যায় জলকণা। গলা তুলে, ডানা ঝাপটিয়ে লোমপোখরি মাতিয়ে তাদের আনন্দ সাম্পান।
প্রাচীন একটি গুম্ফা আছে, আরিতার গুম্ফা। খুবই পবিত্র প্রার্থনাস্থান এটি, স্থানীয়দের কাছে। তিব্বতীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ভুক্ত কর্মা কাগ্যা পা শাসিত এই গুম্ফায় রয়েছে কিছু প্রাচীন পুঁথি, ঐতিহ্যবাহী তোরণ ও ভাস্কর্য, দেওয়ালে বৌদ্ধ ম্যুরাল। অপূর্ব দেখতে আরিতার গুম্ফার পরিবেশটিও ভারী মনোরম। মঠ দেখে এ বার পৌঁছলাম পর্বতেশ্বর শিবালয় মন্দিরে। শ্রাবণ মাসে কাছাকাছি পাহাড়ি গ্রামগুলি থেকে হাজারে হাজারে ভক্ত আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে। এবং শিবলিঙ্গে জল ঢালতে। এ অঞ্চলের একটা জনপ্রিয় পিকনিক স্পট হল লাভ দাড়া। নির্মল ধামটি হল রেনক বাজার পেরিয়ে আরও পাঁচ কিলোমিটার দূর পথে। নির্মলবাবা, যিনি ‘কোপচে বাবা’ বলেই সমধিক পরিচিত, তাঁর আশ্রমে। রেনক বাজারের কাছেই রয়েছে এভারগ্রিন নার্সারি অ্যান্ড র গ্রেইন সংগ্রহালয়। এখানে নানা প্রজাতির অর্কিড ফুল, শস্যদানা ও ঔষধিযুক্ত গাছের বিপুল সংগ্রহ। আরিতারের আরও এক অবশ্য দ্রষ্টব্য স্যর জেমস ক্লাউড হোয়াইট নামে এক ব্রিটিশ আধিকারিকের বিশ্রামাবাস। ১৮৯৫ সালে আরিতার গ্রামের খানিক নীচে তিনি এই চমৎকার আবাসটি বানিয়েছিলেন। স্থানীয়েরা এটিকে ‘অরি বাংলা’ বলেই ডাকে। এখন এটি সিকিম স্টেট পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের ব্যবস্থাপনায় পর্যটক বাংলো হিসেবে চলছে। পরিষ্কার আকাশে প্রাচীন এই ব্রিটিশ বাংলো চত্বর থেকে দূরের কালিম্পং শহর ও শহরতলির খোলা অংশ দিব্যি দেখা যায়। ছোট একটা ট্রেক করেই পৌঁছে যাওয়া যায় ৬,৫০০ ফুট উঁচু মন্খিম্ দারা। মন্খিম্ দারা পাহাড়চূড়া থেকে বাকি সমস্ত চরাচর সাবেক পসরা সাজিয়ে প্রকৃতির নিরন্তর চমক। যেন এক পিকচার পোস্টকার্ড। ক্যামেরা ফোকাস করতেই মেঘেরা নেমে আসে সহসা। পলকে হারিয়ে যাচ্ছে সামনের ওই চরাচর। ঢেকে যাচ্ছে সবুজ। ঢেকে যাচ্ছে নীল। পর্যটন সুবাস ছাড়িয়ে ছায়া-রোদের প্রস্তাবে ডুব দিচ্ছে মন্খিম্।
মন্খিম্ ভিউ পয়েন্ট থেকে সামান্য দূরেই নেপালি রাই সম্প্রদায় নির্মিত ছোট একটা হিন্দু মন্দির রয়েছে। এই জায়গাটার নাম মাইতি ভিলেজ। এখানে খোললাখা নামের প্রকৃতিবীক্ষণ থেকেই প্রতি দিন অর্কদেব আকাশের বুকে কমলা-লাল-হলুদ প্রলেপ ছড়িয়ে পাহাড়ের ফাঁক গলে হারিয়ে যান। সূর্যাস্তের সেই রমণীয় দৃশ্য মন্খিম্ দারা-কে সেরা করে রেখেছে। মুগ্ধতার চূড়ান্ত অধিকারটুকু অচিরেই কেড়ে নেবে আরিতারে হৃদয় উদ্যত লোমপোখরি বা মন্খিম্ দারা। বেবাক আমি, সফরনামা খুলে শুধু দুই হাত পেতে বসে থাকি। বেশ টের পাই, বুঝি, ঋণী হয়ে পড়ছি রূপসী আরিতারের কাছে।
কী ভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে আরিতার ১০৯ কিমি, চার ঘণ্টার পথ। গ্যাংটক থেকে আরিতার ১৩৫ কিমি, দার্জিলিং থেকে ১১১ কিমি। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে পুরো গাড়ি ভাড়া করে চলে যাওয়া যায় আরিতার। আবার গ্যাংটকগামী শেয়ার জিপে রানিপুল পৌঁছে অন্য শেয়ার জিপে আরিতার। সাশ্রয় হবে। উড়ানপথে যেতে হলে বাগডোগরা এয়ারপোর্ট, তার পর সড়কপথে আরিতার।
কোথায় থাকবেন: আরিতারে রয়েছে প্রচুর হোমস্টে। এদের আতিথেয়তা মনে রাখার মতো। থাকা-খাওয়া নিয়ে মাথাপিছু ৯০০-১৩০০। সিল্ক রুট ঘুরে এসেও পর্যটকরা অনেকেই আরিতারে রাত্রিবাস করেন। এখানে বিভিন্ন মানের প্রচুর হোটেলও রয়েছে। তবে পিক সিজনের সময় অনলাইন বুকিং করে যাওয়াই বাঞ্ছনীয়।
কখন যাবেন: সারা বছরই যাওয়া যেতে পারে। এই সময় তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালীন (১২°-২৩° সেন্টিগ্রেড), শীতকালে (৬°-১৫°/১৯° সেন্টিগ্রেড)। ভারী ও উপযুক্ত শীতবস্ত্র জরুরি। উপযুক্ত পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, সব সঙ্গে রাখা একান্ত বাঞ্ছনীয়।
-
12:24
Tundra Tactical
5 hours ago $0.18 earnedThe SIG Roast to ND Them All
47.2K7 -
1:02:31
BonginoReport
8 hours agoDeportations Keep “Frightened” Michelle Obama Awake at Night (Ep. 37) - Nightly Scroll with Hayley
127K172 -
1:54:29
Adam Does Movies
2 days ago $0.05 earnedTalking Movie News & Just Chatting About Films - LIVE!
30.3K3 -
1:02:51
Anthony Rogers
1 day agoEpisode 364 - JFK FILES
14.6K1 -
1:41:02
megimu32
4 hours agoON THE SUBJECT: 1 Million Views Party! Diddy Drama, Marvel Weirdness, and Total Prom Chaos
27.9K11 -
1:18:44
Kim Iversen
7 hours agoMagnetic Pole Shift: Europe’s Blackout Is Just the Beginning | 90° Earth Flip Coming
109K260 -
2:44:58
Laura Loomer
6 hours agoEP118: LIVE COVERAGE: Trump Celebrates 100 Days In Office At Michigan Rally
72.7K37 -
3:40:42
Barry Cunningham
13 hours agoWATCH TRUMP RALLY LIVE: PRESIDENT TRUMP MARKS 100 DAYS IN OFFICE WITH A RALLY IN MICHIGAN
53.3K22 -
1:32:44
Badlands Media
13 hours agoBadlands Media Special Coverage: President Trump's 1st 100 Days Rally
63.5K4 -
DVR
RalliedLIVE
8 hours ago $1.11 earnedWarzone All Night w/ Ral
20.4K4