লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এগিয়ে | Hazrat Shahjalal International Airport

2 years ago
10

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে যেতে আপনি আরও একটি পথ ব্যবহার করতে পারবেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে আপনি সরাসরি চলে যেতে পারবেন নির্মিতব্য নতুন টার্মিনালে। বিমানবন্দর এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে টার্মিনালে নামার জন্য রাখা হচ্ছে আলাদা ব্যবস্থা। ঠিক একই পথ ব্যবহার করে আপনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যেতেও পারবেন। সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রোহানি বাহরিনের নকশায় এভাবেই তৈরি করা হচ্ছে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালটি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহুল প্রতীক্ষিত বিশ্বমানের তৃতীয় টার্মিনাল ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী।
সোমবার নির্মাণস্থল পরিদর্শন করে তিনি বলেন: “আমরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে আমরা আগামী সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে এই বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করতে পারব। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে |কল্পনার জগৎটাকে আপনি যদি এভাবে সাজান, রেলপথে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এসে নামলেন কমলাপুর রেলস্টেশনে। সেখান থেকে পাতালরেলে করে খিলক্ষেত হয়ে কাওলা। সেখানে নেমে সুড়ঙ্গপথে চলে যাবেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে। বিমানবন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে উঠে গেলেন উড়োজাহাজে। এরপর নিজ গন্তব্যে। এ সময়ে পড়বেন না কোনো যানজটে। কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দেখবেন না সূর্যের আলো।
না, এটি স্বপ্ন নয়, রূপ পেতে যাচ্ছে বাস্তবে। রাজধানীর কাওলা রেলস্টেশনকে তৈরি করা হচ্ছে শুধু হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে যাওয়ার জন্য। দেশ থেকে যাঁরা বিদেশ যাবেন বা বিদেশ থেকে যা

টার্মিনালে ঢুকেই যাতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে না হয়, সে জন্য থাকছে ১১৫টি চেক ইন কাউন্টার। চেক ইন পর্ব শেষ করা হলেই ইমিগ্রেশন। তৃতীয় টার্মিনালে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ। যেটি সংযুক্ত থাকবে উড়োজাহাজের সঙ্গে। বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার তৈরি করা হচ্ছে ৬৪টি। একই সঙ্গে আগমনী ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে ৬৪টি। আপনার লাগেজ বা ব্যাগ টানার জন্য নির্মাণ করা হবে ১৬টি কনভেয়ার বেল্ট।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, তৃতীয় টার্মিনালে মোট ৩৭টি অ্যাপ্রোন পার্কিং থাকবে। অর্থাৎ এক সঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করতে পারবে। এখন ২৯টি অ্যাপ্রোন পার্কের সুবিধা আছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে এখন চারটি ট্যাক্সিওয়ে আছে। নতুন করে আরও দুটি ট্যাক্সিওয়ে যোগ হচ্ছে। রানওয়েতে উড়োজাহাজকে যাতে বেশিক্ষণ থাকতে না হয়, সে জন্য নতুন দুটি ট্যাক্সিওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। ৯ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের প্রধান বিমানবন্দর ঘিরে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। খন নির্মাণ করা হচ্ছে সীমানাদেয়াল, গার্ডরুম। সার্ভিস সড়ক নির্মাণের কাজও চলমান। নতুন টার্মিনালের প্রকল্প পরিচালক মাকসুদুল ইসলাম জানান, পুরো প্রকল্পে অন্তত ৫ হাজার মানুষ কাজ করছে। প্রকল্প এলাকায় কথা হলো শ্রমিক শাহ আলমের সঙ্গে। নোয়াখালীর বাসিন্দা শাহ আলম তিন মাস আগে এ প্রকল্পের কাজে যোগ দেন। আরও একাধিক শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রকল্প এলাকায় শ্রমিকদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
২৭ হাজার বর্গমিটার এলাকা নিয়ে তৈরি হচ্ছে আমদানি কার্গো টার্মিনাল। পাইলিংয়ের কাজ শেষ। এখন চলছে গ্রাউন্ডের কাজ। ইমপোর্ট কার্গো টার্মিনালের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী এনামুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ৩৮৯টি পিলার বসানোর কাজ শেষ। পণ্য পরিবহন পুরোটাই হবে অটোমেশন পদ্ধতিতে।
প্রকল্প পরিচালক মাকসুদুল ইসলাম জানালেন, বিদেশ থেকে একজন যাত্রী হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই যাতে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালো ধারণা পান, তৃতীয় টার্মিনালটি সেভাবেই তৈরি করা হচ্ছে। সব ধরনের সুবিধা থাকবে এ টার্মিনালে|

শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল,হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ৩য় টার্মিনাল,এয়ারপোর্ট ৩য় টার্মিনাল নিয়োগ,তৃতীয় টার্মিনালের কাজে সবশেষ অগ্রগতি,বিমানবন্দর ৩য় টার্মিনাল,বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনাল,শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল,বাংলাদেশ,তৃতীয় টার্মিনাল ঢাকা এয়ারপোর্ট,থার্ড টার্মিনাল,ঢাকা এয়ারপোর্ট সম্প্রসারণ আপডেট,থার্ড টার্মিনাল এর নির্মাণ,হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনাল,হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনাল

Loading comments...